ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপের নতুন আপডেট এসেছে। আমরা যারা মোবাইল ফোন ব্যবহারকারী, আমরা সবাই ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপটি আপডেট করে নেই।

ইসলামী যিন্দেগী এ্যাপ ব্যবহারকারীদের সকলকে জানানো যাচ্ছে যে, অনেক লম্বা সময় ধরে আমাদের ২টি ওয়েবসাইটই হ্যাক হচ্ছিল। ফলে আমাদের ব্যবহারকারীরা ঠিকমতো কিতাব, প্রবন্ধ ডাউনলোড করতে, পড়তে এবং বয়ান ডাউনলোড করতে, শুনতে অসুবিধা বোধ করছিল। এছাড়াও আরো অনেক ধরনের সমস্যা হচ্ছিল। ফলে ব্যবহারকারীদের সুবিধার জন্য এবং হ্যাকারদের থেকে আরো বেশী নিরাপদে থাকার জন্য আমরা আমাদের এ্যাপটি আপডেট করেছি।

আলহামদুলিল্লাহ, বর্তমান আপডেটে অনেক নতুন দীনী প্রয়োজনীয় জিনিস সংযোগ করা হয়েছে যা যে কোন দীনদার ব্যবহারকারীর জন্য আনন্দের বিষয় হবে বলে আশা করি।

যেহেতু আমরা সম্পূর্ণ নতুনভাবে কাজ করেছি তাই এ্যাপটি ব্যবহারের ক্ষেত্রে প্রথম দিকে আপনাদের সমস্যা মনে হতে পারে। কিন্তু পরবর্তীতে তা আগের চেয়ে আরো সহজ মনে হবে ইনশাআল্লাহ। আর আমরা এখন পুরোদমে কাজ করে যাচ্ছি তাই আপনাদের নজরে কোন ভুল বা অসঙ্গতি নজরে পড়লে আমাদের উপর নারাজ না হয়ে সুপরামর্শ দেয়ার বিশেষ আবেদন রইলো।

পরামর্শ দেয়ার ঠিকানা: islamijindegi@gmail.com

এতোদিন আমরা ২টি ওয়েবসাইট চালিয়েছি www.darsemansoor.com এবং www.islamijindegi.com আমরা এই দুটি ওয়েবসাইটের সমস্ত তথ্য সহ আরো অনেক জিনিস নতুন সংযোগ করে একটি ওয়েবসাইট তৈরী করেছি। সবাইকে উক্ত ওয়েবসাইটটি ভিজিট করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানাচ্ছি।
www.islamidars.com

হযরতওয়ালা শাইখুল হাদীস মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. এর বয়ান এবং সমস্ত কিতাব, প্রবন্ধ, মালফুযাত একসাথে ১টি অ্যাপে পেতে ইসলামী যিন্দেগী অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন। Play Storeএবং  App Store

এক নজরে হজ্বের এক সপ্তাহ

৭ জিলহজ্ব

১. চার পাঁচ দিনের জন্য জরুরী সামান নিয়ে হাত ব্যাগ প্রস্তুত করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

২.বড় ব্যাগ বাসায় রেখে যাওয়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৩. ইহরাম বাঁধার পূর্বে হাযামাত বানান। (সুন্নত)

৪. স্ত্রী সাথে থাকলে প্রয়োজন সেরে নেওয়া। (সুন্নত)

৫. হজ্বের ইহরাম বাঁধা। (ফরজ)

৬. (যদি কেউ চায়) নফল তাওয়াফ করে হজ্বের সা‘ঈ করে নেয়া যায়। উল্লেখ্য, তাওয়াফের প্রথম তিন চক্করে রমল করা সুন্নত। (ওয়াজীব)

৮ জিলহজ্ব

* এই দিন কোন ওয়াজীব বা ফরজ আহকাম নেই।

১. মিনা ময়দানে অবস্থান করা। (সুন্নত)

২. বেশি বেশি তালবিয়া পড়া। (সুন্নত)

৩. পাঁচ ওয়াক্ত নামায জামা‘আতের সাথে আদায় করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৪. বেশি বেশি তিলাওয়াত ও যিকির করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৯ জিলহজ্ব

১. সূর্যোদয়ের পর মিনা থেকে আরাফায় রওনা হওয়া। (সুন্নত)

২. যুহরের নামাজের পূর্বে গোসল করে নেয়া। (সুন্নত)

৩. আউয়াল ওয়াক্তে যুহর আদায় করে আরাফায় খিমার মধ্যে উকূফ করা। (ফরজ)

৪. বেলা ডুবা পর্যন্ত দু’আ দূরুদ ও কুরআন তিলাওয়াতে মশগুল থাকা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৫. কিবলামুখী হয়ে দাঁড়িয়ে উকূফ করা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৬. সূর্যাস্ত পর্যন্ত আরাফার ময়দানে অবস্থান করে, মাগরীব না পড়ে তালবিয়া পড়তে পড়তে মুযদালিফায় রওনা হওয়া। (ওয়াজীব)

৭. মুযদালিফায় পৌছে ইশার ওয়াক্ত হলে মাগরিব ও ইশা একত্রে পড়া। উল্লেখ্য, মুযদালিফায় রাত্রী যাপন করা এবং সেখান থেকে ৭০টি ছোট কংকর সংগ্রহ করা সুন্নত। (ওয়াজীব)

১০ জিলহজ্ব

১. সুবহে সাদেকের পরে গোসল করা । (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

২. বেশি-বেশি তালাবিয়া, যিকির, দু‘আ ও তিলাওয়াত করতে থাকা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৩. আউয়াল ওয়াক্তে ফজর পড়ে সূর্য উঠার আগ পর্যন্ত উকূফে মুযদালিফা করা অর্থাৎ অবস্থান করা। (ওয়াজীব)

৪. সূর্যোদয়ের সামান্য পূর্বে মুযদালিফা থেকে মিনার উদ্দেশ্যে রওনা হওয়া। (সুন্নত)

৫. ঐ দিনে শুধু বড় শয়তানকে ৭টি কংকর মেরে দ্রুত চলে আসা। (ওয়াজীব)

* শয়তানকে কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

৬. ১০,১১,১২ তারিখের মধ্যে নিজেরা কুরবানী করা। (ওয়াজীব)
* ব্যাংকের মাধ্যমে না করা।

৭. মাথা মুন্ডানো। (ওয়াজীব)
* ৫,৬,৭ নং কাজগুলি ধারাবাহিকভাবে করা জরুরী অর্থাৎ প্রথমে বড় শয়তানকে পাথর মারা তারপর কুরবানী করা তারপর মাথা মুন্ডানো।

৮. ফরয তাওয়াফ করা। (ফরজ)
* উল্লেখ্য, ৭ই জিলহজ্ব সা’ঈ না করে থাকলে এ তাওয়াফের পরে সা’ঈ করা।

৯. রাত্রে মিনায় অবস্থান করা। (সুন্নত)

১১ জিলহজ্ব

১. বাদ যুহর সূর্যাস্তের আগে আগে পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারী ও বড় শয়তানকে সাতটি করে কংকর মারা। (ওয়াজীব)

* ছোট শয়তানকে পাথর মারার পর সামনে অগ্রসর হয়ে কিবলা মুখী হয়ে তাসবীহ তাহলীল ও দু’আ করা। মাঝারী শয়তানকে পাথর মারার পর অনুরূপ ভাবে দু’আ করা। তবে বড় শয়তানকে পাথর মেরে সেখানে দাঁড়িয়ে দু’আ করবে না বরং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসবে। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

* কংকর মারার সময় ধারাবাহিকতা (অর্থাৎ ছোট, মাঝারী ও বড় ) ঠিক রাখা। (সুন্নত)

* শয়তানকে পাথর মারা। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

২. ফরয তাওয়াফ না করে থাকলে করে নেওয়া। (ফরজ)

৩. রাত্রে মিনায় অবস্থান করা। (সুন্নত)

১২ জিলহজ্ব

১. বাদ যুহর সূর্যাস্তের আগে আগে পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারী ও বড় শয়তানকে সাতটি করে কংকর মারা। (ওয়াজীব)

* ছোট শয়তানকে পাথর মারার পর সামনে অগ্রসর হয়ে কিবলা মুখী হয়ে তাসবীহ তাহলীল ও দু’আ করা। মাঝারী শয়তানকে পাথর মারার পর অনুরূপ ভাবে দু’আ করা। তবে বড় শয়তানকে পাথর মেরে সেখানে দাঁড়িয়ে দু’আ করবে না বরং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসবে। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

* কংকর মারার সময় ধারাবাহিকতা (অর্থাৎ ছোট, মাঝারী ও বড় ) ঠিক রাখা। (সুন্নত)

* শয়তানকে পাথর মারা। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

২. ফরয তাওয়াফ না করে থাকলে আজ সূর্যাস্তের পূর্বেই তাওয়াফ করে নেওয়া জরুরী। (ফরজ)

৩. রাত্রে মিনায় অবস্থান করা। (সুন্নত)

১৩ জিলহজ্ব

* এই দিন কোন ফরজ আহকাম নেই।

১. বাদ যুহর পর্যায়ক্রমে ছোট, মাঝারী ও বড় শয়তানকে সাতটি করে কংকর মেরে মক্কায় ফিরে আসা।

* উল্লেখ্য: ১৩ জিলহাজ্জ সুবহে সাদিকের পর যারা মিনায় থাকবে তাদের জন্য ১৩ জিলহাজ্জ শয়তানগুলোকে পাথর মারা ওয়াজীব।

* ছোট শয়তানকে পাথর মারার পর সামনে অগ্রসর হয়ে কিবলা মুখী হয়ে তাসবীহ তাহলীল ও দু’আ করা। মাঝারী শয়তানকে পাথর মারার পর অনুরূপ ভাবে দু’আ করা। তবে বড় শয়তানকে পাথর মেরে সেখানে দাঁড়িয়ে দু’আ করবে না বরং দ্রুত সেখান থেকে চলে আসবে। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ পড়া। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)

* কংকর মারার সময় ধারাবাহিকতা (অর্থাৎ ছোট, মাঝারী ও বড় ) ঠিক রাখা। (সুন্নত)

* শয়তানকে পাথর মারা। প্রত্যেক কংকর নিক্ষেপের সময় ‘বিসমিল্লাহি আল্লাহু আকবার’ বলা। (মুস্তাহাব বা অন্যান্য)