ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৬শে যিলক্বদ, ১৪৪৪ হিজরী, ১৬ই জুন, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. বিভাগ : বই ও আর্টিকেল তারিখ : ২৬-মার্চ-২০১৭
আল্লাহ তা‘আলা ইরশাদ করেন- আল্লাহ তা‘আলার (ঘর) মসজিদ আবাদ তারাই করবে, যারা আল্লাহ তা‘আলা ও পরকালের উপর ঈমান আনে, নামায কায়েম করে, যাকাত আদায় করে এবং আল্লাহ তা‘আলা ছাড়া কাউকেই ভয় করে না। তাদের ব্যাপারে আশা করা যায়, এরা হেদায়াত প্রাপ্ত বান্দাদের অন্তর্ভূক্ত হবে। (সূরায়ে তাওবা আয়াত নং ১৮)
মসজিদ হল হেদায়াতের মারকায । কোন এলাকার মসজিদ যদি পুরাপুরী শরী‘আত মুতাবেক পরিচালিত হয় তাহলে পুরা এলাকায় এক দীনী হাওয়া বিরাজ করবে। বরং ধীরে ধীরে তার আলোকে উক্ত এলাকা তথা পুরা দেশ থেকে অন্ধকার দূরীভূত হয়ে ইসলামের শাশ্বত বিধান প্রতিষ্ঠিত হবে। মসজিদে নববী তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
মসজিদে নববীর মসজিদ কেন্দ্রীক মেহনতের উসীলায় শুধু মদীনা নয় গোটা আরবের সেই বরবর জাতিও স্বর্ণ মানবে পরিণত হয়ে ছিল।
দুঃখের বিষয় হল বর্তমানে পূর্বের তুলনায় মসজিদ তো বেশী হচ্ছে এবং শানদারও হচ্ছে। কিন্তু হেদায়াত দিন দিন বিদায় নিতে চলছে। রাসূল সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর চির সত্য বাণী আজ বাস্তবায়িত হচ্ছে, ইরশাদ করেনঃ অচিরেই মানুষের মাঝে এমন একটি যুগ আসবে যখন ইসলাম বলতে থাকবে শুধু নাম, আর কুরআন বলতে থাকবে কিছু প্রথা। ঐ সময়কার মসজিদগুরো তো হবে বড় শানদার। কিন্তু তা হবে হেদায়াত শূন্য। (বাইহাকী শুয়াবুল ঈমান, হাঃ নং ৩/১৭৬৩)
তাই হেদায়াত শূন্য মসজিদগুলোকে হেদায়াত ওয়ালা বানানো মুসলিম উম্মাহর উপর বিরাট এক যিম্মাদারী। এজন্য মুহিউস সুন্নাহ হযরত মাওলানা শাহ আবরারুল হক (রাহ.) বলতেন যেঃ তোমরা মসজিদ ও মাদরাসাকে সুন্নী বানাও তাহলে পুরা মহল্লা সুন্নী হয়ে যাবে।
উক্ত যিম্মাদারী পালনে আলহা্মদুলিল্লাহ অতীত ও বর্তমানের অনেক উলামায়ে কিরাম এগিয়ে এসেছেন। আলোচ্য গ্রন্থখানা সে ধারাবাহিকতারই এক শর‘ঈ রূপ রেখা
আমরা আশা করব বইয়ের এ কথাগুলো যদি প্রত্যেকটি মসজিদে বাস্তবায়ন করা হয়, তাহলে আমাদের সমাজে আবারো সেই মসজিদে নববীর সেই হেদায়াত ফিরে আসবে।
আল্লাহ তা‘আলা লেখক-পাঠক সবাইকে কবুল করুন। আমীন।