ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯শে সফর, ১৪৪৫ হিজরী, ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।
জিজ্ঞাসাঃ
ফাতাওয়া কি ও কেন?
জবাবঃ
ফাতাওয়া একটি আরবী শব্দ। ফাতাওয়ার আভিধানিক অর্থ হচ্ছে কোন প্রশ্নের উত্তর প্রদান, চাই শরঈ আহকামের সাথে সম্পর্কিত হোক বা অন্য কিছুর সাথে। পরবর্তীতে এ শব্দটি বিশেষভাবে ব্যবহৃত হয়ে আসছে শরঈ প্রশ্নের উত্তরের ক্ষেত্রে। ইসলামী পরিভাষায় দ্বীনী প্রশ্নের কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক উত্তরকেই ফাতাওয়া বলে আখ্যায়িত করা হয়।
উল্লেখ্য, সাধারণ মুসলমান কোন ধর্মীয় বিষয় সম্পর্কে জানার প্রয়োজন হলে একজন মুফতীর শরনাপন্ন হন। তিনি তাদেরকে শরীয়তের সঠিক সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেন। এটা একজন মুফতীর দায়িত্ব ও কর্তব্য।
ফাতাওয়া কোন ঠাট্টা-বিদ্রূপের বিষয় নয়। এটা কোন উর্বর মস্তিশ্কের আবিষ্কার বা কল্পিত গল্প নয়। এটা আল্লাহ প্রদত্ত আইন। এর সাথে অবিচ্ছেদ্যভাবে জড়িত আছে ইসলামী বোধ-বিশ্বাস, ইতিহাস ঐতিহ্য। ফাতাওয়া মানে কুরআন, হাদীস, ইজমা, কিয়াস যুগে-যুগে, ক্ষণে-ক্ষণে যেসব সমস্যার উদ্ভব হয়, সেগুলোর শরীয়তসম্মত মীমাংসাই তো ফাতাওয়া। একজন মানুষকে জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়, সামাজিক জীবন থেকে নিয়ে অর্থনৈতিক, রাজনৈতিক, রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক জীবন পর্যন্ত মানুষের সমস্যা অন্তহীন। এসবের আল্লাহ প্রদত্ত ও রাসূল নির্দেশিত বিশুদ্ধ ও যথার্থ বিধানই ফাতাওয়া। এই ফাতাওয়া ছাড়া একজন ঈমানদার মুহূর্তের জন্যও বাঁচতে পারে না। হ্যাঁ, ফাতাওয়া ছাড়া আরেকটি জীবন কল্পনা করা যায় সেটা হলো চতুষ্পদ জন্তুর জীবন। অথচ দুঃখজনক হলেও সত্য ইসলামী শত্রুরা আর কিছু অবুঝ নামধারী মুসলমান তাদের অনুকরণে ফাতাওয়ার মত কুরআনের এই পবিত্র সম্মানিত শব্দ ও বিষয় নিয়ে ভয়ানক ও আত্মঘাতি অপতৎপরতায় লিপ্ত হয়েছে। তারা বুঝে না, ফাতাওয়া ঈমানের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ, এর সাথে ঈমানের গভীর সংযোগ।