আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ পাক দীর্ঘ ২০ বছর পর জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার মূল ভবন তার আসল হক্বদারদের বুঝিয়ে দিয়েছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামীনের নিকট আরো কোটি শুকরিয়া যে জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার শাখা জামি‘আতুল আবরার মাদরাসা ও তৎসংলগ্ন মাসজিদুল আবরারের কাজও প্রায় শেষের দিকে। আল্লাহ পাকের শুকরিয়া আদায়ের সাথে সাথে আপনাদের সকলের শুকরিয়া আদায় করছি কারণ এই উভয় কাজে আপনাদের দু‘আ ও সহযোগীতা ছিল অনস্বীকার্য।
দীর্ঘ ২০ বছরে জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা ভবনটির তেমন যত্ন না নেয়ার কারণে মাদরাসা ভবনটির অনেক কিছুই নষ্ট হয়ে গিয়েছিল যা মেরামত করা একান্তই জরুরী হয়ে পরে। উক্ত মেরামতের কাজ, জামি‘আতুল আবরার মাদরাসা ও মাসজিদের বাকী কাজের অবস্থার বর্ণনাসহ বকেয়া ঋণের একটা সংক্ষিপ্ত রিপোর্ট পেশ করা হলো।
জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা: জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসার মূল ভবন এর পুনঃ মেরামতের কাজে খরচ হয়েছে ৩০ লাখ টাকা। ভবনের বাকী কাজ সম্পন্ন করতে (রং-এর কাজ, ছাদ মেরামত, ভবনের ভেতরের রাজ মিস্ত্রীর কাজ ও মালামাল খরচ, সেনিটারী মালামাল, টাইলসের মালামাল ইত্যাদির জন্য) আরো ২৫ লক্ষ টাকা প্রয়োজন।
জামি‘আতুল আবরার (রাহমানিয়া মাদরাসার শাখা): মাসজিদ মাদরাসার রং এর কাজ ২০ লক্ষ টাকা, বাউন্ডারী, গ্রীল ও টাইলসের মজুরী ৮ লক্ষ টাকা, ২য় তলা থেকে ৭ম তলার বাহিরের অংশে (লোভার, গ্লাস ইত্যাদির মজুরী) ৫ লক্ষ টাকা, মাদরাসা ভবনের জলছাদ ১১ লক্ষ টাকা সহ রাহমানিয়ার শাখা মাদরাসার অসম্পন্ন কাজ সম্পন্ন করতে লাগবে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকা। এই মাদরাসার কাজের গতি স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর ঋণ করতে হয়েছিল। উক্ত ঋণের একটা বড় অংশ পরিশোধের পর বকেয়া ঋণ রয়েছে ১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা। সুতরাং এই মূহুর্তে প্রয়োজন,
রাহমানিয়ার মূল ভবনের বাকী কাজ সম্পন্ন করতে লাগবে: | ২৫,০০,০০০/= | (২৫ লক্ষ টাকা) |
জামি‘আতুল আবরারের বাকী কাজ সম্পন্ন করতে লাগবে: | ৫০,০০,০০০/= | (৫০ লক্ষ টাকা) |
বকেয়া ঋণ পরিশোধের জন্য লাগবে: | ১,৭৫,০০,০০০/= | (১ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা) |
মোট লাগবে: | ২,৫০,০০,০০০/= | (২ কোটি ৫০ লক্ষ টাকা) |
আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহর মেহেরবানীতে আপনাদের দু‘আ ও চেষ্টায় আল্লাহ পাক এই কাজ এতদূর করার তৌফিক দিয়েছেন। এর বাকী কাজ সম্পন্ন করার জন্য আপনার নিকট দু‘আ এবং সহযোগীতার দরখাস্ত রইলো। এবং অনতিবিলম্বে আপনাকে এবং আপনার পরিবারের সকলকে এককালীন বা কিস্তিতে ১ লক্ষ টাকা দিয়ে এই মাদরাসার আজীবন সদস্য হওয়ার জন্য বিশেষভাবে দাওয়াত দেয়া হলো। এছাড়া যারা সদস্য না হয়েও মাদরাসার বাকী কাজ সম্পন্ন করার জন্য- সদকায়ে জারিয়ার কাজে শরীক হতে আগ্রহী, তাদের জন্য যে কোন পরিমাণ টাকা দান করার সুযোগ রয়েছে। অনুরোধক্রমে মাদরাসা কর্তৃপক্ষ।