হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসা থেকে প্রকাশিত একাডেমিক ক্যালেন্ডার পেতে ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. বিভাগ : বই ও আর্টিকেল তারিখ : ২০-অক্টোবর-২০১৫
ইসলামের দৃষ্টিতে বিবাহের চুক্তি অন্যান্য চুক্তির মত নয় বরং এতে একদিকে যেমন চুক্তি রয়েছে অপর দিকে এটি একটি ইবাদতও বটে। এ কারণেই হাদীসে পাকে বিবাহ শাদীর ব্যাপারে যেভাবে উৎসাহিত করা হয়েছে অন্যান্য মুআমালা তথা বেচা কেনা ইত্যাদির ব্যাপারে তেমন উৎসাহিত করা হয় নাই। কাজেই শরীয়াতে বিবাহের চুক্তি একটি অত্যন্ত মূল্যবান চুক্তি যা সারা জীবনের জন্য সম্পাদন করা হয়। এ চুক্তি যেন ভঙ্গ করার মত কোন অবস্থা সৃষ্টি না হয়। সে দিকে ইসলাম বিশেষ ভাবে লক্ষ রেখেছে। কেননাএই সম্পর্ক ছিন্ন করার পরিণাম শুধু স্বামী-স্ত্রী পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকে না বরং এতে উভয় পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং সন্তানাদি থাকলে তাদের জীবনও বরবাদ হয়ে যায়। এবং সংশ্লিষ্ট অনেকেই এর ফলে ক্ষতি গ্রস্ত হয় । এই জন্য শরীয়াতে বিবাহের চুক্তি ভঙ্গ করা তথা তালাকের বিষয়টিও অন্যান্য মুআমালার চেয়ে সম্পূর্ণ স্বতন্ত্র । কুরআন ও হাদীসে তার জন্য অনেক আহকাম ও পরামর্শ বয়ান করা হয়েছে যাতে করে পরত পক্ষে বিবাহ বিচ্ছেদ সমস্যার সম্মূখীন হতে না হয় । অতএব যদি কখনো স্বামী-স্ত্রীর মাঝে অমিল দেখা দেয়, বনি-বনা না হয় এবং একজন অপরজনের হক আদায় করা অসম্ভব হয়ে দাঁড়ায় তখন শরীয়াত তালাক দেয়ার পূর্বে সমস্যা সমাধানের জন্য দুটি ব্যবস্থা নিয়েছে । কোন অবস্থায় উক্ত ব্যবস্থা অবলম্বনের পূর্বে তালাক দেয়ার অনুমতি দেয়া হয় নাই। আল্লাহ না করুন যদি উক্ত দুটি ব্যবস্থা দ্বারাও সমস্যা সমাধান না হয় তখন কয়েকটি বিষয় খেয়াল রেখে স্বামীকে তালাক দেয়ার পরামর্শ দিয়েছে ।