ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯শে সফর, ১৪৪৫ হিজরী, ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)

হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন

হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com

হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন

হযরতওয়ালা শাইখুল হাদীস মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. এর বয়ান এবং সমস্ত কিতাব, প্রবন্ধ, মালফুযাত একসাথে ১টি অ্যাপে পেতে ইসলামী যিন্দেগী অ্যাপটি আপনার মোবাইলে ইন্সটল করুন। Play Storeএবং  App Store
 

মসজিদে মুসল্লীদের সঠিকভাবে ইমামতি করা ও নামায পড়ানো। এর জন্য নিজের প্রস্তুতি হিসেবে তিনটি কাজ করতে হবে।

(ক) সূরা-ক্বিরা‘আত পুরোপুরি সহীহ করতে হবে। কারণ, ক্বিরা‘আতের অনেক ভুলের দ্বারা নামায ফাসিদ হয়ে যায়।

(খ) সহীহ মাসআলা-মাসায়িল আমলী মশক (বাস্তব প্রশিক্ষণ) এর মাধ্যমে শিখে নিতে হবে। কারণ, ড্রাইভার না শিখে ড্রাইভিং করলে যেমন ড্রাইভিং নিজেও মরে যাত্রীদেরকেও মারে, তেমনিভাবে কারো নিকট থেকে মাসায়িল ও প্র্যাকটিক্যাল নামায না শিখে ইমামতি করলে বিভিন্ন ভুলের দরুন নিজেও মহা অপরাধী হয় এবং মুসল্লীদের নামায ও নষ্ট হয়ে যায়। যেমন, মনে মনে ক্বিরা‘আত পড়া, জিহ্বা ঠোঁট বা মুখ না হেলিয়ে দিলে দিলে ক্বিরা‘আত পড়া। (হিদায়া, ১ : ১১৭)

তাছাড়া নামাযের আমলী মশক না থাকার দরুন অনেক ইমাম তাকবীরে তাহরীমার ‘আল্লাহ’ শব্দের মধ্যে এক আলিফ থেকে অনেক বেশি মাদ করে থাকেন, যা মূলত নিষেধ (ফাতওয়া শামী, ১ : ৩৮৭/ শরহে বেকায়া, ১ : ১৩৪) কিন্তু এ ভুলের দরুন মুসল্লীদের নামাযে মারাত্মক অসুবিধা হতে পারে। কারণ, অনেক মুসল্লী ইমামের সাথে সাথে তাকবীরে তাহরীমা বলে থাকেন এবং তারা আল্লাহ শব্দটি দীর্ঘ ভাবে উচ্চারণ করেন না। এ কারণে তাদের তাকবীর ইমামের তাকবীরের আগেই শেষ হয়ে যায়। যার ফলে তাদের ইমামের একতেদাই সহীহ হয় না এবং তাদের নামায বেকার হয়ে যায়। (আহসানুল ফাতওয়া, ৩ : ৩০৫) লক্ষ্য করুন, ইমামের একটু ভুলের দরুন কত বড় ক্ষতি হতে পারে! তেমনিভাবে অনেকে তাকবীরে তাহরীমার জন্য হাত উঠানোর সময় মাথা ঝুকিয়ে থাকেন এবং এটাকে আল্লাহর সামনে বিনয় প্রকাশ করা মনে করে থাকেন। অথচ এ অবস্থায় চেহারা কিবলার দিকে রাখতে হয়। কিবলার দিকে না রেখে জমিন মুখী রাখায় এটা নাজায়েয ও হারাম হয়। (ফাতওয়া আলমগীরী, ১ : ৭৩/ আদ দুররুল মুখতার, ১ : ৪৭৫) আবার কেউ কেউ রুকু‘ থেকে সিজাদায় যাওয়ার সময় রুকুর মত করে সিজদায় গিয়ে থাকেন, যা মাকরূহে তাহরীমী। কারণ, মাসআলা হলো, হাঁটু জমিনে না লাগা পর্যন্ত বুক একদম সোজা রাখতে হবে এবং হাঁটু জমিনে লাগার পর সিনা ঝুকিয়ে সিজদায় যেতে হবে। (ফাতওয়া শামী, ১ : ৪৯৭) নূরুল ইজাহ, ৫১)

লেখা বড় করুন লেখা ছোট করুন