ইনশাআল্লাহ জামি‘আ রাহমানিয়া আরাবিয়া মাদরাসায় দাওয়াতুল হকের মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে আগামী ২৯শে সফর, ১৪৪৫ হিজরী, ১৫ ই সেপ্টেম্বর, ২০২৩ ঈসা‘য়ী, শুক্রবার (সকাল ৭টা থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ)।
হযরতওয়ালা মুফতী মনসূরুল হক সাহেব দা.বা এর লিখিত সকল কিতাব পাওয়ার জন্য ক্লিক করুন।
হযরতওয়ালা দা.বা. এর কিতাব অনলাইনের মাধ্যমে কিনতে চাইলে ভিজিট করুনঃ www.maktabatunnoor.com
হযরতওয়ালা দা.বা. কর্তৃক সংকলিত চিরস্থায়ী ক্যালেন্ডার ডাউনলোড করতে ক্লিক করুন।
লেখক: মুফতী মনসূরুল হক দা.বা. বিভাগ : বই ও আর্টিকেল তারিখ : ২০-অক্টোবর-২০১৫
ছেলে মেয়ে, সন্তান- সন্তুতি নিয়ে অনেক মা-বাবাই আজ পেরেশান । কেউ পেরেশান এজন্য যে, সন্তানকে অজস্র টাকা-পয়সা খরচ করে শিক্ষিত করে আজ পিতা-মাতাকে সে অবহেলা-অবজ্ঞা করে । আবার অনেক এজন্য পেরেশান যে সন্তান তার বিপথে চলে যাচ্ছে, চরিত্রহীন হচ্ছে, বংশেরমুখে কালিমা লেপন করছে । অবশ্য এমন দ্বীনদার মা-বাবা ও আছেন, যারা চান তাদের সন্তান নামাযী হোক,দ্বীনের পথে চলুক, বেহেশতের আমল করুক ।
কিন্তু ছেলে-মেয়েরা মা-বাপের এ আকাংখা পূরণ না করে বরং প্রগতির উল্টো স্রোতে গা-ভাসিয়ে দিয়ে জাহান্নামের পথে অগ্রসর হচ্ছে । এজন্য সেই সকল মা-বাবার পেরেশানী রোধ করেন । কিন্তু ছেলে-মেয়েরা কেন পিতা-মাতাকে অবজ্ঞা করছে, কেন বিপতে কুপথে চলছে, নামাযী হচ্ছে না দ্বীনদার হচ্ছে না, তা তলিয়ে দেখা দরকার। অবশ্য আমাদের সমাজ আজ ভিন্ন চিত্রও দৃষ্টিগোচর হয়, তা হল সন্তান আবধ্য হওয়ার কারণে বিপথগামী হওয়ার কারণে পিতা মাতা,আত্নীয়-সজন যতটুকু মনঃক্ষুন্ন হন, সন্তান ধর্ম বিমূখ হয়ে গেলে, আল্লাহ ও তার রাসূলের শিক্ষা থেকে দুরে সরে গেলে বা নাস্তিক-মুরতাদদের পথে চললে কিন্তু পিতা-মাতা তখন নাখোশ হন না। এমন কি অনেক পিতা-মাতা জানেনই না যে, সন্তানের জন্য তার কি করনীয় রয়েছে। তাই সন্তানদেরকে সুপথে আনতে হলে,তাদেরকে আর্দশ সন্তানরুপে গড়তে হলে, পিতা-মাতার কি করনায় ও ফরজ জিম্মাদারী তা জানা অত্যাবশ্যক । এ সকল জিম্মাদারী ঠিকমত আদায় করলেই সন্তানরা কাংখিত সুসন্তান রুপে পিতা-মাতার মুখ উজ্জ্বল করবে । আর এ সন্তানেই দুনিয়া ও আখিরাতে পিতা-মাতার শান্তি ও সুখের মাধ্যম হবে। সন্তানের উসীলায় কিয়ামতের দিন পিতা-মাতা নাজাত পাবে ।
বস্তুতঃ সন্তান-সন্তানতি পিতা-মাতার জন্য যবরদস্ত নিয়ামত, যা তাঁর দুনিয়া, কবর ও আখিরাতের সকল ঘাটিতে কাজে আসবে- যদি নাকি তারা সন্তানকে সুশিক্ষা তথা দ্বীনী শিক্ষা ও কুরআনী তালীম দিয়ে থাকেন । নতুবা এসব সন্তানরাই প্রতিটি ঘাঁটিতে তাদের জন্য বিপদ ও আযাবের কারন হয়ে দাঁড়াবে । কারণ সন্তানরা পিতা মাতার হাতে আমানত। তারা আল্লাহ তা‘আলার এ আমানতের যতাযথ কদর না করলে পরকালে নিঃসন্দেহে জবাবদিহির সম্মুখীন হবে । তাই প্রত্যেক পিতা-মাতাকেই এ ব্যাপের যত্নবান হওয়া একান্ত কর্তব্য। দ্বীনের ইলম না থাকার কারণে অসংখ্য পিতা-মাতা নিজেদের এবং অসখং পিতা মাতা নিজেদের এবং সন্তানদের কল্যান কামনায় ভুল পথে হাজার হাজার টাকা ব্যয় করছে । কিন্তু এর দ্বারা প্রকৃত কল্যান কেউ হাসিল করতে পারছে না, বরং সমস্যা দিন দিন আরো ঘোরতর হচ্ছে ।
অত এব, মূল সমস্যা কি তা জেনে সঠিক পথে সন্তাদের পরচালনা করতে হবে । সময় ও সুযোগ থাকতেই এ নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করা অতি আবশ্যক । এদিকে লক্ষ্য রেখেই আমরা সন্তানের কল্যান কামনায় প্রকৃত স্বরূপ কি হবে, কোন পথে তাদেরকে পরিচালিত করলে তারা আমাদের উবয় জাহানের সফলতার প্রতিক হবে, পিতা-মাতার উপরে সন্তানের হক কি, এসব বিষয়গুলো বিশদ ভাবে অত্র পুস্তকে আলোচনা করতে সচেষ্ট হয়েছি । আশা করি -এ পুস্তুক সকল পিতা-মাতার জন্য সন্তানদের মানুষ করার ব্যপারে দিক নির্দেশনা দিবে । আল্লাহ্ পাক আমাদের এ মেহনতকে কবুল করুন,সকল পিতা-মাতাকে কল্যানের সঠিক পথে চলার তাওফীক দান করুন ।(আমীন)